প্রকৃতির নিয়মে স্বাভাবিক কারণেই বয়স বাড়ে। তাকে ধরে রাখার সাধ্য নেই মানুষের। কিন্তু সময়ের আগেই বয়সের ছাপ মুখে পড়ুক, তা চান না কেউই। অথচ পরিবর্তিত জলবায়ু, অতিরিক্ত দূষণ, খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। এসব কারণে না চাইতেই চেহারায় পড়ছে বার্ধক্যের ছাপ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলোর কারণে সময়ের আগেই বয়সের ছাপ পড়ছে মুখে। জেনে নিন সেগুলো কী —
ঝাল-মশলাদার খাবার: রান্নায় বেশি করে ঝাল ও মশলা না দিলে অনেকেরই খাবার মুখে ওঠে না। মশলাদার খাবার কিন্তু রক্তনালিগুলোকে ফুলিয়ে দেয়। অত্যধিক ঝাল খেলে রক্তনালিগুলো ছিঁড়েও যায়। এই কারণে ত্বকে বেগুনি রঙের ছোপ পড়তে শুরু করে। ঋতুবন্ধের পর নারীদের ত্বকে রক্তনালিগুলো ফুটে উঠতে দেখা যায়। বেশি ঝাল খেলে এই উপসর্গগুলো আগে থেকেই শরীরে দেখা দিতে শুরু করে।
সোডা, নরম পানীয় ও এনার্জি ড্রিংক: এই প্রকার পানীয় আপনি যত বেশি খাবেন, আপনার টিস্যুতে কোষের বয়স ততই দ্রুত হারে বাড়তে থাকবে। এই প্রকার পানীয় ক্যালোরি ও চিনি উচ্চ মাত্রায় থাকে। এই প্রকার পানীয় মুখের ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মিলে গিয়ে এক প্রকার অ্যাসিড তৈরি করে, যা দাঁতের এনামেলের ক্ষয় করে। এ ছাড়াও ওজন বৃদ্ধি, স্ট্রোক এবং ডিমেনশিয়ার উচ্চ ঝুঁকিও বাড়ায়।
মদ্যপান: এই অভ্যাস কেবল লিভারেরই নয়, এর কারণে ত্বকেরও ক্ষতি হয়। মদ্যপান করলে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। নিয়মিত মদ্যপান ডিহাইড্রেশনের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে।
প্রক্রিয়াজাত মাংস: দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য বেকন, সসেজ, হ্যামে অত্যধিক মাত্রায় নুন ও রাসায়নিক মেশানো থাকে। এগুলো বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গ্লুটেনসমৃদ্ধ খাবার: গ্লুটেনসমৃদ্ধ খাবার আপনার বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে। গ্লুটেনসমৃদ্ধ খাবার অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। অতিরিক্ত খেলে গালে, কপালে ব্রণ, ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। গ্লুটেন অ্যালার্জির ফলে ত্বকে র্যাশও হতে পারে।