চলচিচত্র অঙ্গনে অসামান্য অবদান রাখায় শিল্পী ও কলাকুশলীদের সর্বোচ্চ সম্মাননা ও স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করে থাকে সরকার। প্রতি বছর পৃথক ২৮ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়।
সম্প্রতি জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চূড়ান্ত তালিকার অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে। যা শিগগিরই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশ হবে। এর মধ্যে একটি সূত্র জানায়, চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য এবার (২০২১ সাল) যৌথভাবে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও অভিনেত্রী ডলি জহুর।
এই অভিনেত্রীর ‘আজীবন সম্মাননা’ পেতে যাওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই অভিনেত্রী অঞ্জনা বিষয়টিকে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেন। গত ৬ জানুয়ারি ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ডলি জহুর আপাকে কেন আজীবন সম্মাননা দেয়া হবে, এটা আমার বোধগম্য হয় না।’
অঞ্জনা আরও বলেন, ‘নিঃসন্দেহে তিনি ভালো অভিনেত্রী, কিন্তু ওনার চেয়ে স্বনামধন্য দাপুটে অভিনেত্রী চিত্রনায়িকা নূতন, সুচরিতা, চিত্রনায়ক ও নৃত্য পরিচালক জাভেদ ভাই, যারা স্বাধীনতার আগে থেকে এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রশিল্পে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। তাদের না দিয়ে কেন ডলি আপাকে দিলো এটা আসলেই হাস্যকর।’
অঞ্জনার এই মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ডলি জহুর বলেন, ‘এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। তার কাছে এমনটা মনে হতেই পারে, স্বাভাবিক।’
চিত্রনায়ক ও নৃত্য পরিচালক জাভেদ এবং অভিনেত্রী নূতনদের ‘আজীবন সম্মাননা’ পাওয়া উচিত ছিল কিনা—জানতে চাওয়া হলে ডলি জহুর বলেন, ‘এটা তার নিজস্ব মতামত। এ নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। কারণ তারা সিনিয়র আর্টিস্ট। অবশ্যই এটা আশা করতে পারেন। যেকোনো আর্টিস্টই এটা আশা করতে পারেন। এ নিয়ে আমি কিছু ভাবছি না।’
প্রসঙ্গত, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের জন্য গত ১৬ আগস্ট ১৩ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, ২০২১ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত ২১টি পূর্ণদের্ঘ্য, ১৭টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৭টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রসহ মোট ৪৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য।