রুশ বিমানটি তখন মাঝ আকাশে, আচমকাই পিছনের দরজা খুলে গেল। এতে বিমানের মধ্যে থাকা বাতাসের চাপ হাল্কা হয়ে যায়। যাত্রীদের মালপত্র উড়ে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। আর ফুরফুরে বাতাস ঢুকে পড়ে বিমানের মধ্যে! রাশিয়ার এনএন-২৬-এর যাত্রীরা এমন ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলেন। ওয়াল
২৫ জন যাত্রী নিয়ে সাইবেরিয়া মাগান শহর থেকে উড়েছিল। যখন ঘটনাটি ঘটে তখন বিমানের বাইরের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৪১ ডিগ্রি। আচমকাই যাত্রীরা লক্ষ্য করেন বিমানের পিছনের দিকে যে দরজা সেটি খুলে যায়। সেই দরজার সামনে যে পর্দাটা লাগানো ছিল সেটাও উড়তে শুরু করে এবং কনকনে ঠান্ডা বাতাস ঢুকতে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন বেশ কয়েকটি ভিডিও ঘুরছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানের পিছনের দরজার অংশ ভাঙা। সেখান থেকে যে হাওয়ার ঝাপটা, তাতে যাত্রীদের অবস্থা তথৈবচ। ব্যাগ থেকে শুরু করে মাথার টুপি উড়ে যাচ্ছে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায়।
বিমানটি সাইবেরিয়া থেকে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলের মাগাদানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাঝ আকাশে এমন বিপত্তি ঘটায় পাইলট সিদ্ধান্ত নেন বিমান ঘুরিয়ে মাগানেই ফিরে যাবেন। বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয়। বিমানে থাকা যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদই রয়েছেন। তেমন বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। তবে কেন এমন ঘটল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এনডিটিভি ও নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজের যাত্রীদের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কয়েক যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। তবে মাঝ আকাশে উড়োজাহাজের দরজা খোলার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না তারা। অনেকের কেবিনে থাকা মালপত্র হারিয়ে গেছে।
উড়োজাহাজের এক যাত্রীর শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পেছনের দরজাটি খোলা। এটা দেখে যাত্রীরা ভয়ে আতঙ্কিত। বাতাসে উড়োজাহাজের ভেতরে থাকা পর্দাগুলো উড়তেও দেখা গেছে।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ বিমানটি ৪৩ বছরের পুরোনো। উড়োজাহাজটি ১৯৭৯ সাল থেকে আকাশে উড়ছে।