সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় সন্তন জন্ম দিয়েছেন এক নারী। এ ঘটনা ঘটেছে জাপান থেকে দুবাইগামী ১২ ঘণ্টার বিরতিহীন একটি ফ্লাইটে। এমিরেটসের এই ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার টোকিও’র নারিতা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
কিন্তু হঠাৎ মাঝ আকাশে প্রসব বেদনা ওঠে ওই নারীর। তখন বিমানেই সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। বিমান অন্য কোথাও থামেনি। সরাসরি দুবাই গিয়ে অবতরণ করে ফ্লাইটটি। এরপর মা ও নবজাতককে প্রয়োজনীয় মেডিকেল সহায়তা দেয়া হয়। খবর খালিজ টাইমস’র।
ফ্লাইটের কয়েকজন যাত্রী জানান, ক্রুরা দ্রুত সাড়া দেন এবং শান্তভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন। এমিরেটস খালিজ টাইমসকে এক বিবৃতিতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
তারা জানায়, গত ১৯ জানুয়ারি এমিরেটসের টোকিও’র নারিতা থেকে দুবাইয়ের ফ্লাইট ইকে৩১৯-এ একটি শিশুর জন্ম হয়েছে। ওই নারীকে ক্রুরা সহায়তা করেছিল এবং ফ্লাইটটি সময়সূচি মেনে উড্ডয়ন অব্যাহত রেখেছিল। মা এবং শিশুর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে এবং দুবাই পৌঁছানোর পর স্থানীয় চিকিৎসারা তাদের সহায়তা করে। আমাদের ক্রু এবং যাত্রীদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও গর্ভাবস্থার একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর নারীদের বিমানে উড়তে দেয়া হয় না। তবে বিমানে জন্ম দেয়াটা স্বাভাবিক ঘটনা। সাধারণত চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতা এবং অপ্রত্যাশিত সমস্যার কারণে এমনটা ঘটে থাকে। গত বছরের ডিসেম্বরে একজন নারী, যিনি জানতেনই না, তিনি গর্ভবতী ছিলেন, ইকুয়েডরের গুয়াকিল থেকে আমস্টারডাম যাওয়ার কেএলএম রয়্যাল ডাচ ফ্লাইটে সন্তানের জন্ম দেন।