
২০০৮ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি মারা যান ঢাকাই সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা মান্না। তার মৃত্যুর পরপরই বদলে যেতে থাকে তার কাছের মানুষেরা। যা মান্নার স্ত্রী শেলী মান্নার কাছে ছিল মানসিক পীড়ন।
তার ভাষায়, পরদিন সকাল থেকেই আমার চারপাশের অনেক স্বজনের মানবিক চরিত্রচিত্রের বদল দেখেছি।
সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শেলী মান্না বলেন, ‘আমার স্বামীর এভাবে আকস্মিক চলে যাওয়া আমাদের জন্য বিশাল শূন্যতা ও বিষণ্নতার। পরবর্তী সময়ে আমার কাছের অনেক স্বজনের দূরে সরে যাওয়া দেখে হতবাক হয়েছি।
‘খুব কাছ থেকে অনেককে দেখেছি, দিনের পর দিন তারা একসময় অচেনা হয়ে গেলেন। এ সময় আমি মান্নার কর্মকাণ্ড ঘিরে ও আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে সমর্পণ করি।’
তিনি বলেন, ‘কিংবদন্তি অভিনেতা, প্রযোজক মান্নার অগণিত ভক্তকুল, সিনেমাপ্রেমী স্বজন ও পরিবারের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল মান্না ফাউন্ডেশন গঠন নিয়ে। পরে আমরা ফাউন্ডেশন গঠন করি। সেখানেও একসময় সক্রিয় থাকা সম্ভব হয়নি।’
মান্নার চলে যাওয়ার পর তার রেখে যাওয়া প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলির হাল ধরেন শেলী। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানেও আমি এক বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের ফাঁদের বেড়াজালে পড়ে যাই। সম্মান বাঁচাতে বৈষয়িক অনেক বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে লাগলাম।
‘আমাকে শূন্যতা, বিষণ্নতা ও চরম পরিস্থিতি থেকে একবারে টেনে তোলার মতো কোনো স্বজন এগিয়ে আসেননি। যেমনটা আমি একসময় অনেকের অনেক সমস্যায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলাম। শুরু হয় জীবনযুদ্ধ। সেই সঙ্গে কাছের মানুষেরাও হয়ে যায় চির অচেনা।’