পদ্মা সেতু চালুর আগ পর্যন্ত মাদারীপুর থেকে সড়কপথে ঢাকা পৌঁছাতে যাত্রীদের গুনতে হতো ২৫০ টাকা। সেতু চালুর পর ২৫০ টাকার ভাড়া বাড়িয়ে করা হয় ৩০০ টাকা। হঠাৎ করে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার সেই ভাড়া আরেক দফা বাড়িয়ে করা হয় ৩৫০ টাকা। তবে প্রতিযোগিতা থাকায় অনেক পরিবহন ৩০০ টাকা ভাড়া নিত। একপর্যায়ে জেলার সবকটি ঢাকাগামী পরিবহন যাত্রীপ্রতি ৩০০ টাকা ভাড়া নিতে শুরু করে।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। হঠাৎ করেই সড়ক পরিবহন বাসমালিক সমিতির একটি সিন্ডিকেট সভায় মাদারীপুর-ঢাকা সড়কপথে বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৪০০ টাকা। কোনো ধরনের নোটিশ বা প্রজ্ঞাপন ছাড়াই এই ভাড়া পরদিন থেকে কার্যকর করা হয়। ৩০০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা বৃদ্ধি করায় এরপর থেকে প্রতিবাদ করা শুরু করেন অনেকেই। প্রতিবাদকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ পথের বাসগুলো বর্জনের ডাক দিচ্ছেন। যাত্রীদের এই প্রতিবাদ চলমান রয়েছে গত দুই সপ্তাহ ধরে। তারা বিকল্প যানবাহন ও বিকল্প রুটে রাজধানীতে যাতায়াত করছেন। এতে যাত্রীসংকটে পড়েছেন মাদারীপুর-ঢাকা রুটের বাসগুলো।