সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর ক'দিন আগেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এরপর জাতীয় দলে বিশাল পরিবর্তন আনলেন। সেই পরিবর্তনে কাজও হলো। আক্রমণাত্মক ফুটবলে বদলে গেল গোটা দলের চেহারা। সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ১৬ বছর পর সাফের ফাইনালে ওঠার। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কাছে হারতে হলো অস্কার ব্রুজনকে। ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে গোটা ম্যাচ জুড়ে দেখলেন রেফারির বিতর্কিত সব সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে রেফারির এমন সব বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ ব্রুজন। সাময়িক সময়ের জন্য জাতীয় দলের দায়িত্ব পাওয়া এই স্প্যানিশ কোচ মনে করেন, এসবই বাংলাদেশ ফুটবলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। এমনটা বলার অবশ্য কারণও রয়েছে। গত আগস্ট মাসে এএফসি কাপে বসুন্ধরা কিংসের শেষ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে বাজে রেফারিংয়ের সাক্ষী হয়েছিলেন। ভারতের মোহনবাগানের বিরুদ্ধে এক গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত দশ জন নিয়ে ড্র করে। এই ড্রয়ের ফলে কিংসের বদলে মোহনবাগান পরবর্তী রাউন্ডে খেলে।
দুই মাস পর জাতীয় দলেও একই ঘটনার শিকার অস্কার। দুই ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে এই স্প্যানিশ কোচের মন্তব্য, বাংলাদেশ ফুটবলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এমন সব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। অস্কার বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে চক্রান্ত ছাড়া আর কি হতে পারে? বাংলাদেশর ক্লাব বসুন্ধরা কিংস যেন উন্নত পর্যায়ে যেতে না পারে সেই জন্য এই সিদ্ধান্ত। জাতীয় দলের ক্ষেত্রেও এমন হলো।’
এর আগে ভারত ম্যাচের আগেও রেফারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অস্কার। এই ম্যাচেও সেই ধারাবাহিকতা জামাল ভূঁইয়াদের প্রতি রেফারির অবিচার উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'রেফারি আমার খেলোয়াড়দের প্রতি অবিচার করেছে। তিনি পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন। আমি ভারত ম্যাচের পর থেকেই রেফারিং নিয়ে বলে আসছিলাম। আজ এর চূড়ান্ত রূপ নিল।'
কেবল পেনাল্টি নয়, জিকোর লাল কার্ড নিয়েও প্রশ্ন ব্রুজনের। বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘জিকো বক্সের বাইরে প্রথমে পা দিয়ে স্পর্শ করেছে। এরপর বল তার হাতে লেগেছে, সেটি ইচ্ছেকৃত নয়। লাল কার্ড দেওয়ার মতো ছিল না। পেনাল্টির কথা আর কী বলব! এটি সম্পূর্ণ অর্থে ভুল সিদ্ধান্ত। আরও বেশি কিছু বললে আমি এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হব।’