তীব্র এ গরমের মধ্যে একটু স্বস্তি পেতে অনেকেই বাসায় এসি ব্যবহার করেন। অনেকে আবার নতুন করে এসি কেনার জন্য ধারণা নিচ্ছেন। তবে সবার মনে একটাই ভয় থাকে এসি ব্যবহারের কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসবে। মধ্যবিত্তের অনেকেই বিদ্যুৎ বিলের ভয়ে এসি কেনার চিন্তাও করেন না। কিছু নিয়ম মেনে যদি আপনি এসি চালান তবে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
* এসির টেম্পারেচার সবসময় ২৪ ডিগ্রি থেকে ২৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখা ভালো। অনেকেই মনে করে এসির তাপমাত্রা যত কম হবে ততই ঠান্ডা হবে রুমের আবহাওয়া। বাইরের গরমের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে তাই অনেকেই এসির তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে দিয়ে থাকেন। কিন্তু, ২৩-২৪ ডিগ্রিতেও দিব্যি কাজ করে এই মেশিন।
* এসিতে টাইমার ব্যবহার করা যেতে পারে যাতে ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে নিজ থেকেই এসি বন্ধ হয়ে যায়।
* এসি খুব বেশি পুরোনো হয়ে গেলে তা চালানো ঠিক নয়। কারণ পুরোনো এসিগুলো নতুনের মতো খুব বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয় না।
* ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ করলে বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়। একটানা চালিয়ে রাখলে কম ইউনিট ব্যবহার হবে।
* এসির ফিল্টারটি একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর পরিষ্কার করা উচিত।
* রাতে অবশ্যই স্লিপ মোডে এসি চালিয়ে রাখতে হবে। এতে বিদ্যুৎ অপচয় কম হবে।
* এ ছাড়া রাতে একটানা ৫ ঘণ্টা এসি চললে, পরবর্তী কিছুক্ষণ এসি ছাড়া থাকাই যায়।
* ভোরে ঠান্ডা বাতাস থাকে সুতরাং এ সময় এসি বন্ধ করে রাখাই ভালো।
* দিনে ঘরে সরাসরি তাপ প্রবশের উৎসগুলো বন্ধ করতে পারলে ঘর এমনিতেই ঠান্ডা থাকবে। ফলে খুব বেশিক্ষণ এসি চালিয়ে রাখার প্রয়োজন হয় না।
* এসি কেনার আগে প্রতিটা ব্র্যান্ডে নতুন কি ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিলে ভালো ব্র্যান্ড বাছাই করা যাবে সহজেই।