
বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীদের অন্যতম অস্বস্তির কারণ ব্রণ। ঠিকঠাক খাবার না খাওয়া, পর্যাপ্ত না ঘুমানো, পর্যাপ্ত পানি পান না করা, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত তেল ঝাল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া, ঠিক প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার না করা ইত্যাদি নানা কারণে যেকোনো বয়সের মানুষের ব্রণ হতে পারে। তবে শুধু খাবার দাবার নয়, জেনেটিক্স এবং মানসিক চাপ থেকেও ব্রণ হতে পারে
ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নূপুর জৈন বেশ কিছু উপদেশের কথা বলেন। তিনি জানান, সাধারণত স্কিনের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে গেলে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে ত্বকের কোষগুলি মৃতকোষ দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ডা. নূপুর বলেন, তিনটি বিষয়ের দিকে নজর রাখলেই ব্রণের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
প্রথমত ভীষণ ধৈর্যশীল হবে হবে। যেকোনো স্কিনকেয়ারকে কাজ করার জন্য অন্তত চার সপ্তাহ সময় দিতেই হবে। রাতারাতি এর থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। অনেকেই আছে দু-তিনদিনের মাথায় প্রোডাক্ট বদলে ফেলেন এটি কিন্তু কোনো কাজে আসে না। পরিবর্তন আশা করতে চাইলে অন্তত এক মাস অপেক্ষা করতেই হবে।
দ্বিতীয়ত সঠিক খাবার খেতে হবে! ব্রণ অনেক সময় খাবারের সঙ্গে সংযুক্ত! লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে যারা চিনি, চর্বি এবং দুধ জাতীয় খাবার বেশি খান তাদের ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আপনি যদি ভারী ব্রণ ব্রেকআউটের সম্মুখীন হন তবে আপনার খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। ভিটামিন এ এবং ই সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা কোষের পুনর্জন্মে সাহায্য করতে পারে।
তৃতীয়, ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকলে আগে সেই দিকে লক্ষ্য রাখুন। ত্বকের যত্নে সঠিক পণ্যগুলো বেছে নিন। অয়েল ফ্রি প্রসাধনী অথবা ক্রিম বেছে নিন। এর চিকিত্সা হিসেবে শুধু ব্রণের উপরেই নয় বরং সম্পূর্ণ ত্বকের ওপর ছড়িয়ে দিন। প্রয়োজনে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অনুসারে চিকিৎসা নিন। অনেক সময় ভিন্ন কোনো রোগের কারণে ব্রণ হতে পারে। প্রথমে এর উত্স চিহ্নিত করে সেটি নির্মূল করতে হবে। লিভারের সমস্যা থাকলে সেটিকে আগে সুস্থ করতে হবে।
এই বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে তাহলেই ব্রণ থেকে রেহাই পাবেন। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, পর্যাপ্ত পানি পান, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে এবং অস্বাস্থ্য খাবার বর্জন করতে হবে।