
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার ধ্রুপদী লড়াই মানেই বাড়তি কিছু। জাতীয় থেকে বয়সভিত্তিক দল অথবা বিচ ফুটবল কিংবা ফুটসাল প্রতিযাগিতা দুদলের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে। সেই ধারাবাহিকতায় কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটসালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে শিরোপা জিতেছে ব্রাজিল।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভেনিজুয়েলার লা গুয়াইরা শহরের জোসে মারিয়া ভার্গাস ডোমে অনূর্ধ্ব-২০ ফুটসালের নবম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার। একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনাকে কাঁদিয়ে শিরোপা উৎসব করেছে সেলেসাওরা।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোর বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে ১-০ ব্যবধানে কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলেছিল আর্জেন্টিনা। বছর দুয়েক পর সেই একই ব্যবধানের ফাইনাল দেখলো সমর্থকরা। তবে এবার ফরম্যাটের ভিন্নতার সঙ্গে জয়ী দলের নামও ভিন্ন। বিজয়ী দলের নাম ব্রাজিল। এই জয়ে রেকর্ড অষ্টমবার কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটসালের চ্যাম্পিয়ন হলেন সেলেসাওরা। বাকি একবার শিরোপা ঘরে তুলেছিল আর্জেন্টাইনরা।
ভেনিজুয়েলায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। পুরো টুর্নামেন্টে দাপট দেখালেও শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তুমুল বাধার মুখে পড়ে ব্রাজিল। গ্রুপপর্বে পেরুকে এক ম্যাচে ১৫ গোলের বন্যায় ভাসিয়েছিল সেলেসাওরা। এমনকি পুরো আসরজুড়ে ম্যাচপ্রতি ৫ গোল করা ব্রাজিল ফাইনালে এসে খেই হারিয়ে ফেলে। আলবিসেস্তেদের বিরুদ্ধে গোল পাওয়াই যেন ছিল দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য গোল পায় ব্রাজিল। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে ডি-বক্সে হ্যান্ডবল করে বসেন আর্জেন্টিনার টমাস এসেবেডোর। পেনাল্টির বাঁশি বাজায় রেফারি। স্পটকিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ব্রাজিলের থিয়াগুইনহো কানারিনহা।
এরপর কয়েকবার সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে গোল মিসের কারণে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি। ফলে ১-০ তে শিরোপা জিতে নেয় ব্রাজিল। এবার নিয়ে চারবার প্রতিযোগিতায় এবং টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে সেলেসাওদের কাছে হারের স্বাদ পেল আর্জেন্টিনা।
প্রতিযোগিতার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলিকে ৩-২ গোলে হারায় কলম্বিয়া। এই জয়ে ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করেছে কলম্বিয়ানরা। ভেনেজুয়েলাকে ৩-১ গোলে হারিয়ে পঞ্চম স্থান নিশ্চিত করে পেরু।
কনমেবল অনূর্ধ্ব-২০ ফুটসাল টুর্নামেন্টে লাতিন অঞ্চলের ১০টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়েই নকআউট পর্বে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল অপরাজিত থেকেই রেকর্ড অষ্টমবার শিরোপা ঘরে তুলেছে।