চট্টগ্রামের চশমা খালে তলিয়ে যাওয়া সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদের ছেলে সাদেকুল্লাহ মাহিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
সাদেকুল্লাহ মাহিন এইচএসসির ছাত্র। তাকে সিটি করপোরেশন পরিচালিত সিএনজি স্টেশনে ‘হেলপার’ পদে চাকরি দেওয়া হয়েছিল।
সাদেকুল্লাহ বলেন, তাকে সিএনজি পাম্পের স্লিপ লেখার কাজ দেওয়ার কথা বলা হলেও গাড়িতে গ্যাস ভরার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটা করা তার পক্ষে কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল।
সাদেকুল্লাহর অভিযোগ, দায়িত্ব পরিবর্তনের জন্য সিটি করপোরেশনের মেয়র ও দায়িত্বশীল প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলার পর মেয়র দায়িত্ব পরিবর্তনের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। এ জন্য আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে বলেছিলেন মেয়র, কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী বলেছেন অন্য দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব নয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সাদেকুল্লাহর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে যান্ত্রিক শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক দাবি করেন, সাদেকুল্লাহকে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছে। তাকে স্লিপ লেখার কাজই দেওয়া হয়। গ্যাস ভরে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মী কোনো কাজে বাইরে গেলে মাঝেমধ্যে সাদেকুল্লাহকে ওই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়।
প্রকৌশলী সুদীপ বসাক আরও বলেন, সাদেকুল্লাহ চাকরি ছেড়ে দেননি। সামনে তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এ জন্য আপাতত আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় নগরীর মুরাদপুরে চশমা খালে তলিয়ে যান সবজি বিক্রেতা ছালেহ আহমেদ (৫০)। তাকে উদ্ধারে কয়েক দফা চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নিখোঁজ ছালেহ আহমেদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তার ছেলেকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর গত ১২ অক্টোবর সাদেকুল্লাহের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন মেয়র।