নোয়াখালীতে অবস্থিত গান্ধী আশ্রম পরিচালনায় পুরনো আইন বাতিল করে সংসদে নতুন ‘গান্ধী আশ্রম (ট্রাস্টি বোর্ড) বিল-২০২১’ পাস হয়েছে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আইনটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
গত ৩ জুলাই পরে বিলটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী। পরে সেটি ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সামরিক শাসনামলের ‘দ্য গান্ধি আশ্রম বোর্ড অব ট্রাস্টি অর্ডিন্যান্স-১৯৭৫’ এর নতুন করে বাংলায় আইন নতুন করে বিলটি আনা হয়েছে। নতুন করে কোনও বিধান এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিলে বলা হয়েছে, গান্ধী ট্রাস্ট একটি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে। এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে। আশ্রমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও হস্তান্তর বোর্ডের কাছে থাকবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ছয়জন ট্রাস্টিকে সরকার মনোনয়ন দেবে বলে প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।
এই বোর্ড জনসাধারণকে শান্তি ও সম্প্রতিতে জীবন যাপনসহ সাবলম্বীকরণ সংক্রান্ত কাজ করবে। বোর্ড সুতাকাটা, বুনন, মৎস্য চাষ, কুঠির শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিধবা-এতিম-দুস্থদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ এসব কাজ করবে বলে বলা হয়েছে।
বোর্ডের একটি তহবিল থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সরকারসহ অন্যান্য উৎস থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি-বিজড়িত এই ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন গান্ধী আশ্রমটি পরিচালনা করবার স্বার্থে প্রস্তাবিত আইনে নতুন কোনও বিধান না এনে কেবল পূর্ববর্তী অধ্যাদেশ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্টির গঠন ও কার্যক্রমকে চলমান রাখতে বিলটি আনা হয়েছে।’