লক্ষ্মীপুরে কলেজছাত্র সাইফ মোহাম্মদ আলীর (২১) গ্রেপ্তারের খবর শুনে বাবা সামছুল আলম মামুন (৫২) হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ভোরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কালু হাজী সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এদিন সকালে নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফকে আদালতে তোলা হয়। আদালত বাবার জানাজায় অংশ নিতে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সাইফের আইনজীবী মহসিন কবির বলেন, ‘মামলা বা ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে বাসা থেকে আটক করা হয়। পরে কোটা আন্দোলন ইস্যুতে পুলিশের করা নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় তার বাবা সামছুল আলম মামুন ছেলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ও ওয়ারেন্ট আছে কি না, পুলিশের কাছে জানতে যান। তবে পুলিশ কোনো জবাব না দিয়ে তাকে নিয়ে চলে যায়। এ সময় হার্ট অ্যাটাক করে ঘটনাস্থলেই মারা যান সামছুল আলম মামুন।’
সাইফের মা তাহমিনা আক্তার নাসরিন বলেন, ‘সাইফের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। পুলিশ জোর করে তাকে ধরে নিয়ে যায়। তখন সাইফের বাবা আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।’
লক্ষ্মীপুর আধুনিক হাসপাতালের আরএমও ডা. শাহজাহান বলেন, ‘হার্ট অ্যাটাক করেই সামছুল আলম মামুনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।’
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. ইয়াছিল মজুমদার ফারুক জানান, ‘নাশকতা ও বিস্ফোরক মামলায় সাইফ মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে তিনি আগে থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিল বলে জেনেছি। সাইফ ছাড়াও আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’