কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে কমে গেছে রেমিট্যান্স। এর প্রভাবে দুই-তিন দিনের ব্যবধানে খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে মার্কিন ডলারের দাম। বুধবার (৩১ জুলাই) খুচরা নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে ১২৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১২৫ টাকা।
এমন পরিস্থিতিতে কার্ব মার্কেটে ডলারের দর নির্ধারণ করে দিয়েছে মানি চেঞ্জারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। সংগঠনটি খুচরা প্রতি ডলারের মূল্য সর্বোচ্চ ১১৯ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর চেয়ে বেশি ডলার বিক্রি করলেই ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি এম এস জামান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের সকল মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের জন্য মার্কিন ডলারের সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য বর্তমানে ১১৯ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। যদি কোনো মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিচেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সকল সদস্যকে এই বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এদিকে, ডলার বাজার অস্থির হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন মানিচেঞ্জার প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনার করছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগেও ডলার বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিযান পরিচালনা করেছিলো। সে সময়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালাও করা হয়।