চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রদের হল বন্ধ রেখে আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে কলেজে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর পৌনে ৩টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি মহানগর নিউজকে নিশ্চিত করেন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে আটজনকে দুই বছর, দুইজনকে দেড় বছর এবং অপর ২০ জনকে এক বছরের জন্য সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া আমরা আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে কলেজে পাঠদান শুরু করা হবে। ছাত্রীদের হল খুলে দেওয়া হবে। তবে ছাত্রদের হল বন্ধ থাকবে আপাতত।
এদিকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২২ জন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। বাকি ৮ জন শিক্ষার্থী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— এইচএম আসহাব উদ্দিন (৬২ তম ব্যাচ), অভিজিৎ দাশ (৬০ তম ব্যাচ), সাদ মোহাম্মদ গালিব (৬২ তম ব্যাচ), সাকিবুল ইসলাম হৃদয় (৩০ তম ব্যাচ), সৌরভ ব্যাপারি (৬২ তম ব্যাচ), জাহেদুল ইসলাম জিশান (৩১ তম ব্যাচ) ইমতিয়াজ আলম (৩০ তম ব্যাচ) ও মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহকে (৬১ তম ব্যাচ)।
এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে— সাজু দাশ (৬২ তম ব্যাচ), রকিব উদ্দিন আহমেদ সিয়াম (৬২ তম ব্যাচ), জাকির হোসেন সায়েম (৬২ তম ব্যাচ), জুলকাফল মোহাম্মদ শোয়েব (৬২ তম ব্যাচ), মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল (৬২ তম ব্যাচ), চমন দাশ অনয় (৬২ তম ব্যাচ), ফারহান রহমান ফাহিম (৬২ তম ব্যাচ), মাহিন আহম্মেদ (৬২ তম ব্যাচ), শেখ ইমাম হাসান (৬২ তম ব্যাচ), সৌরভ দেবনাথ (৬২ তম ব্যাচ), মো. মঈনুল হোসেন (৩১ তম ব্যাচ), মোহাম্মদ আরফাত ইসলাম (৬২ তম ব্যাচ), মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হাবিব (৩০ তম ব্যাচ), মোহাম্মদ আনিস (৩১ তম ব্যাচ), মো. এহেসানুল করিম রুমন (৩১ তম ব্যাচ), মো. মাহতাব উদ্দিন রাফি (৩১ তম ব্যাচ), মো. শামীম (৩১ তম ব্যাচ), মো. সাব্বির (৬০ তম ব্যাচ), মইন ভূঁইয়া (৩১ তম ব্যাচ), তৌফিকুর রহমান ইয়ন (৫৮ তম ব্যাচ) ও আল আমিন ইসলাম (৫৮ তম ব্যাচ)।
প্রসঙ্গত, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চমেকের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান খানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। এছাড়া ওই সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২১ নভেম্বর) সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।