খারাপ ছেলেরা আসলে কেন এত আকর্ষণীয়? নাকি এটি শুধু মাত্র একটি কল্পনা? গবেষণা বলছে, ‘ব্যাড বয়’দের প্রেমে পড়ে বেশিরভাগ মেয়েরা। প্রায়ই শোনা যায়, মেয়েরা তথাকথিত ব্যাড বয়দের প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট হয়। তারা চায় ভালো ছেলেদের সঙ্গে থাকতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খারাপ ছেলেদের প্রেমেই পড়ে। গ্রিন ফ্ল্যাগ ছেড়ে রেড ফ্ল্যাগের প্রতি মেয়েদের এই আকর্ষণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও দেখা যায় নানা হাস্যরসাত্মক পোস্ট। খারাপ ছেলেদের প্রতি মেয়েদের কেন এই আকর্ষণ?
অনেক সময় দেখা যায়, নার্সিসিস্ট, সাইকোপ্যাথ আর নানা নেতিবাচক মনোভাবের ছেলেদের ফ্যাশন সেন্স, ভাবভঙ্গি ও কথাবার্তা আলাদা রকমের নজরকাড়া হয়। তারা জানে নিজেদেরকে কীভাবে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। সাম্প্রতিক ট্রেন্ড অনুযায়ী পোশাক বাছাই, হেয়ারস্টাইলসহ ফ্যাশনের সব ব্যাপারেই এরা মনোযোগী। আর এগুলো অনেক সময়ই আরোপিত বা মেকি হয়, ন্যাচারাল না।
প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়তে বাধ্য হওয়ার ব্যাপারটি এখানে কাজ করে। মেয়েরা মূলত তাদের এই মিথ্যে চাকচিক্যের প্রেমে পড়ে। অনেক সময় আবার মেয়েদের মাঝে ‘এই ছেলেটিকে আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে ভালো ছেলেতে পরিণত করব’ ধরনের অবাস্তব চিন্তা কাজ করে। আর নিষিদ্ধ বা নেতিবাচক যেকোনো কিছুর প্রতি আকর্ষণ তো মানুষের চিরাচরিতভাবেই বেশি। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, খারাপ ছেলে বা সমাজের ব্যাড বয়দের প্রতি মেয়েদের এই আকর্ষণের পেছনে কিছু কারণ রয়েছে।
রাত দুপুরে বাড়ির নিচে এসে সরি বলার মতো স্টান্ট ধরণের সারপ্রাইজ দেওয়া এই ব্যাড বয়দের বৈশিষ্ট্য। আর তাতেই গলে যায় অনেক মেয়ে। এদিকে দামী আর দেখানোর মতো উপহার দিয়ে নিজের খারাপ আচরণের ক্ষতিপূরণ দেয় এ ধরনের ছেলেরা। উপহারের লোভে এমন ছেলেদেরকে পছন্দ করে অনেকে। শুনতে ভালো না লাগলেও এটি সত্য।
পরের বার আপনি যখন কারও প্রতি আকৃষ্ট হবেন, তখন এই কারণগুলো বিবেচনা করুন। একটি খারাপ ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো উত্তেজনাপূর্ণ কিন্তু সমানভাবে বিপজ্জনক। কারণ এ ধরনের সম্পর্কের স্থায়িত্ব কম। ভালো ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কে আপনি তুলনামূলক সুরক্ষিত। তবে প্রেম আসলে বলে-কয়ে আসে না। তাই আপনি যদি কোনো ব্যাড বয়ের প্রেমে পড়েই যান, তবে বুঝে-শুনে নিন পরবর্তী পদক্ষেপ।
মানুষ চায় নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে, আলোচনায় থাকতে। বিশ্ববিদ্যালয় বা পাড়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী বা ত্রাস সৃষ্টি করা ছেলেটির প্রেমিকা হিসেবে এই লাইমলাইটে থাকার লোভ সামলাতে পারে না অনেক মেয়ে। দুজন মানুষ যখন কাছে আসতে শুরু করে, তারা একে অপরের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে চায়। টক্সিক কোন লোকের সঙ্গে একটি নেতিবাচক অভিজ্ঞতার পর একটি মজার সময় কাটাতে অনেকে খারাপ ছেলেদের সঙ্গ বেছে নেয়। এক্ষেত্রে কমিটমেন্ট বা প্রতিশ্রুতির কিছু থাকে না।
স্বভাবগতভাবেই মেয়েরা তার সঙ্গীর জীবনে নিজের প্রয়োজন অনুভব করতে চায়। বিপরীত মানুষটিকে সাহায্য করতে চায়। মেয়েরা জানে হয়তো এই ছেলেটি সঠিক পথে নেই, তাও সে বিশ্বাস করে ‘আমার ভালোবাসা দিয়ে আমি ওকে ভালো করে তুলব’। নাটকীয় মনে হলেও, মেয়েরা এই চ্যালেঞ্জটুকু নিতে পছন্দ করে। এমনকি কোনো অপরাধীর সঙ্গে সম্পর্কে থাকা অবস্থায়ও সে চায় মানুষটিকে সঠিক পথে নিয়ে আসার কারণ হবে সে।