বাংলাদেশ সরকারের ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের জন্য ভর্তুকি মূল্যে সয়াবিন তেল, চিনি এবং মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এ জন্য সরকারি কোষাগার থেকে মোট ৫১৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনটি প্রস্তাব পেশ করা হয়, যেগুলোর মধ্যে সয়াবিন তেল, চিনি এবং মসুর ডাল কেনার অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।
প্রথমে, ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার জন্য ৯১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বসুন্ধরা মাল্টি ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৬৬ টাকা দরে তেল কেনা হবে। টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের জন্য এই তেল বিক্রি করা হবে ভর্তুকি মূল্যে। স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্রে শুধু একটি দরপত্র জমা পড়েছিল, যা আর্থিক এবং কারিগরি দিক থেকে গ্রহণযোগ্য ছিল।
এরপর, ২০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার প্রস্তাবও অনুমোদন পায়। প্রথমে, মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার জন্য ১১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার প্রতি কেজি মূল্য ধরা হয়েছে ১১৬ টাকা ৮৫ পয়সা। দ্বিতীয় প্রস্তাবে আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার জন্য ১১৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে, এবং চিনি কিনতে একই প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে।
টিসিবি’র ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে, এবং এতে মোট ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের মূল্য ধরা হয়েছে ৯৭ টাকা ৯৭ পয়সা।
এছাড়া, আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল, যা অনুমোদিত হয়েছে। এ জন্য ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ২২ লাখ টাকা, এবং মসুর ডাল আবারও নাবিল নবা ফুডস লিমিটেড থেকে কেনা হবে।
এই সামগ্রীর মাধ্যমে আগামী ২০২৫ সালের পবিত্র রমজান মাসে ভর্তুকি মূল্যে বাজারে চিনি, সয়াবিন তেল এবং মসুর ডাল সরবরাহ করা হবে।