তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাত দ্বিতীয় রাকাতের মতো করে আদায় করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি নামাজের জন্য দাঁড়াবে, তখন তাকবির বলবে। তারপর কোরআন থেকে তোমার জন্য যা কিছু সহজ হয় তা তিলাওয়াত করবে। এরপর ধীরস্থিরভাবে রুকু করবে। তারপর মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়াবে। তারপর ধীরস্থিরভাবে সিজদা করবে। এরপর মাথা তুলে ধীরস্থিরভাবে বসবে। এরপর ধীরস্থিরভাবে (দ্বিতীয়) সিজদা করবে। এরপর মাথা তুলে ধীরস্থিতার সঙ্গে বসবে। এরপর তোমার সব নামাজে এমন আমল করবে।’ (বুখারি, হাদিস: ৬২৫১; মুসলিম, হাদিস: ৭৭১)
তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে—
তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতিহা পাঠ করবে। সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা পাঠ করবে না। আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) জোহরের প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য দুটি সুরা পাঠ করতেন এবং শেষের দুই রাকাতে শুধু সুরা ফাতিহা পাঠ করতেন। কখনো কখনো আমাদের এক আয়াত জোরে পড়ে শোনাতেন।’ (বুখারি, ১/১০৭)
তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতের শেষ বৈঠকে বসার পদ্ধতিতে ভিন্নতা রয়েছে বলে কেউ কেউ মতামত ব্যক্ত করেছেন। আবু হুমাইদ সাইদি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন দুই রাকাত শেষে বসতেন, তখন বাম পায়ের ওপর বসতেন আর ডান পা দাঁড় করে রাখতেন। আর যখন শেষ রাকাতে বসতেন, তখন বাম পা এগিয়ে দিয়ে ডান পা খাড়া করে নিতম্বের ওপর বসতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮২৮)
চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজের শেষ দুই রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর সুরা মেলানো ওয়াজিব নয়। তাই কেউ ভুলবশত ওই দুই রাকাতে কোনো আয়াত বা সুরা পড়ে ফেললে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। নামাজ হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে শামি, ২/১৫০, ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি, ১/১২৬)
সুন্নত ও নফলের সকল রাকাতে সুরা ফাতিহার পর অন্য সুরা মেলানো ওয়াজিব। না মেলালে সাহু সিজদা আবশ্যক। কোনো কারণ ছাড়াই সাহু সিজদা ছেড়ে দিলে ওয়াক্তের মধ্যে নামাজটি পুনরায় পড়া আবশ্যক, অন্যথায় গোনাহগার হবে। (সুনানে আবু দাউদ, ১০৩৮; আদ দুররুল মুখতার, ২/৭৮)