অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান এবং তার স্ত্রী সায়রা বানু সম্প্রতি ২৯ বছরের বিবাহিত জীবনের পর তাদের বিচ্ছেদ ঘোষণা করে ভক্তদের হতবাক করে দিয়েছিলেন।
বিচ্ছেদের ঘোষণার পর প্রথম প্রকাশ্য উপস্থিতির জন্য আইএফএফআই ২০২৪-এর উদ্দেশ্যে গোয়ায় ভ্রমণ করেনি এ আর রহমান। তাকে কালো প্যান্টের সাথে কালো এবং সাদা প্যাটার্নযুক্ত স্যুট পরে দেখা গেছে।
হেডহান্টিং টু বিটবক্সিং-এর জন্য এ আর রহমান প্রযোজকের ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি আইএফএফআই-তে ডকুমেন্টারিটির একটি বিশেষ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যা ২০২৪ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবেও দেখানো হবে।
প্রকল্পটি সম্পর্কে রহমান বলেন, ‘হেডহান্টিং টু বিটবক্সিং (নাগাল্যান্ডে সংগীতের বিবর্তন সম্পর্কে একটি মিউজিক্যাল ডকুমেন্টারি) একটি খুবই অনুপ্রেরণামূলক গল্প। আমি পরিদর্শন করেছি এবং পর্যবেক্ষণ করেছি কি ঘটছে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘বিবর্তনটি এতটাই অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল যে আমি অনুভব করেছি এটি এমন একটি গল্প যা অনেককে অনুপ্রাণিত করতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ এই নতুন নাগাল্যান্ড সম্পর্কে জানেও না।’
১৯৯৫ সালে রহমান ও সায়রা বানুর বিয়ে হয়েছিল। দেখাশোনা করেই নাকি এই বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২৯ বছর তারা একসঙ্গে কাটিয়েছেন। খাতিজা, রহিমা ও আমিন, তিন সন্তানের জন্ম হয়েছে। মেয়ে খাতিজার বিয়েও হয়ে গেছে।
বিয়ের এত বছর পর হঠাৎ কেন বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন রহমান ও সায়রা এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে এক্স হ্যান্ডেলে রহমান নিজের ও সায়রার যৌথ বিবৃতি শেয়ার করেছেন। যাতে জানানো হয়, দাম্পত্যের তিরিশ বছরের জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল রহমান ও তার স্ত্রীর কিন্তু তা হল না।