
ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই এখন কেবল আইসিসি এবং এসিসির টুর্নামেন্টে দেখা যায়। এখন সেই সম্ভাবনাও কমে যাচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারত কোন ধরনের ক্রিকেট খেলতে চায় না। এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আইসিসি ও এসিসির কাছে বিসিসিআই ভারত-পাকিস্তানকে একই গ্রুপে না রাখার অনুরোধ করবে।
ওই গুঞ্জনে হাওয়া দেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার। তিনি আশঙ্কা করে স্পোর্টস টুডেকে বলেন, ‘এশিয়া কাপে পাকিস্তান অংশ নাও নিতে পারে। বিসিসিআই ভারত সরকারের নির্দেশ মেনে চলে। যেহেতু এবারের আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা, ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানকে বাদ দিয়ে টুর্নামেন্ট হতে পারে।’
সম্প্রতি কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক পূর্বের চেয়েও খারাপ হয়েছে। এই হামলার পেছনে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনেছে ভারত। যে তিক্ততা দুই দেশের ক্রিকেটে গিয়ে পৌঁছেছে। এরই প্রেক্ষাপটে গাভাস্কারের এমন মন্তব্য।
গাভাস্কারের মন্তব্যে চটেছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ ও বাসিত আলী। মিয়াঁদাদের মতে, গাভাস্কারের মতো সম্মানিত সাবেক ক্রিকেটার কেন ক্রিকেটে রাজনীতি টানবেন। গাভাস্কারের আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করাকে ‘স্টুডিট’ বলেছেন বাসিত।
মিয়াঁদাদ বলেন, ‘সানি ভাই (গাভাস্কার) এটা বলেছেন বিশ্বাসই করতে পারছি না। তিনি দুই দেশের ক্রিকেটেই সম্মানিত ব্যক্তি। নিজেকে সবসময় রাজনীতি থেকে দূরে রাখেন।’
বাসিত বলেন, ‘এটা স্টুপিডের মতো কথা। এই আলোচনা এখানে শেষ করতে দেন, ক্রিকেট সবসময় রাজনীতির উর্ধ্বে থাকা উচিত।’ পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানও বলেছেন, ‘রাজনীতর অঙ্গনে যা-ই ঘটুক, ক্রিকেট এর বাইরে থাকা উচিত।’