স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী তিনমাস ধরে কক্সবাজার অবস্থান করছিলেন এবং ধর্ষকরা তার পূর্বপরিচিত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার (এসপি) জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বুধবার রাতের ঘটনা নিয়ে অভিযোগকারী নারী ও তার স্বামী মামলার তদন্তকারীদের কাছে বিস্তারিত জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন এসপি জিল্লুর।
তিনি বলেন, ভিকটিম তিন মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন। আসামি আশিক ও বাবু উনার পূর্বপরিচিত এবং স্বামী-সন্তানসহ তিনি বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী নারী তা স্বীকার করে নিয়েছেন।
কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে মামলার প্রধান আসামি আশিকুল মোটরসাইকেলে তুলে হোটেল জিয়া গেস্ট ইনে নিয়ে যান জানিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, উনাকে (ওই নারীকে) যখন আশিক মোটরসাইকেলে নিয়ে যায়, মেইন রোড দিয়ে যায়। সেখানে অনেক লোকজন ছিল। তিনি বাইকের পিছনে বসা ছিলেন, কিন্তু তিনি কোনো চিৎকার- চেঁচামেচি কিছু করেননি।
এর আগে ওই নারী র্যাবের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে তাকে অটোরিকশায় তুলে ওই হোটেলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হোটেলে নেয়ার আগে একটি ঝুপড়ি চা-এর দোকানের পেছনে এক দফা ধর্ষণ করা হয়। পরে হোটেলে আবারও ধর্ষণের শিকার হন তিনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি বলেন, ৯৯৯- এ ফোন করে বা পুলিশকে ভিকটিম কোনো তথ্য দেননি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সংস্থাকে (র্যাব) তিনি ও তার স্বামী ফোনে তথ্য দিয়েছেন।
বহুল আলোচিত এ ঘটনা সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘পর্যটকদের হয়রানি নিয়ে যে সব অভিযোগ আসছে তা সমাধানে আমরা কাজ করছি। নারীকে ধর্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা এসব বিষয় নিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।